আজ মঙ্গলবার, ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

হাছিনা গাজীর নেতৃত্বে স্বাবলম্বী হচ্ছে তারাব পৌরসভা

স্বাবলম্বী হচ্ছে তারাব পৌরসভা

স্বাবলম্বী হচ্ছে তারাব পৌরসভা

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:

রূপগঞ্জ উপজেলার তারাব পৌরসভার যাত্রা শুরু ২০০২ সালে । তারাব পৌরসভা ঢাকার নিকটবর্তী গুরুত্বপূর্ণ একটি পৌরসভা। বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের আমলে  পৌরসভায় চোখে পড়ার মত তেমন উন্নয়ন হয় নি।

২০১৬ সালের ২ ফেব্রুয়ারী  ঋণগ্রস্থ তারাব পৌরসভার দায়িত্ব গ্রহণ করে নারায়ণগঞ্জ ১ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজীর সহধর্মীনী হাছিনা গাজী। হাছিনা গাজী তারাব পৌরসভার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বদলাতে থাকে পৌর সভার চিত্র। দ্রুত দূর হচ্ছে সমস্যা সমূহ।

মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে সর্বপ্রথম হাছিনা মাদক চাঁদাবাজ সন্ত্রাসমুক্ত শান্তিময় পৌর সভা গড়তে কাজ শুরু করে।  সম্প্রতি নাগরিক সমাজের আস্থা অর্জন করছে হাছিনা গাজী।

ঋণগ্রস্থা তারাব পৌরসভা স্থানীয় সাংসদ ও বর্তমান মেয়র হাছিনা গাজীর নেতৃত্বে স্বাবলম্বী হয়েছে। ২০১৪/১৫ অর্থবছরে রাজস্ব আয় ছিলো ৬ কোটি টাকা বর্তমানে তা বৃদ্ধি পেয়ে দাড়িয়েছে প্রায় ১০ কোটি টাকা।

পৌর সভায় কোন তথ্য ও অনুসন্ধান কেন্দ্র ছিলো না বর্তমানে তথ্য ও অনুসন্ধান কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। নতুন ২য় তলা পৌর ভবন নিমাণসহ পুরাতন ভবনকে সম্প্রসারণ করে ৩য় তলায় করা হয়েছে।

জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য বিশেষ ক্র্যাস প্রোগ্রাম অব্যাহত রয়েছে । জলাবদ্ধতা নিরসনের ফলে ঢাকার চেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে তারাব। একটি গার্ভেজ ট্রাকের পরিবর্তে ৬ টি ট্রাক ও শতাধিক পরিচ্ছন্ন কর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

নতুন রাস্তা নির্মাণ পাম্প স্থাপন  খাল খনন ড্রেন নির্মাণ সড়কে বাতি স্থাপনের কাজ শুরু হয়ে তা অব্যাহত রয়েছে।

হাছিনা গাজী দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে স্থানীয় সাংসদের সহযোগিতায় এ পর্যন্ত  ১০০ কোটি টাকার উন্নয়ন হয়েছে যা বাংলাদেশের ৩২৯ টি পৌরসভার মধ্যে অন্যতম।

পৌরবাসির পানির সমস্যা দূর করার জন্য পাইপ পানি সরবরাহ প্রকল্পের জন্য নিজস্ব অর্থায়নে প্রায় ১ একর জমি ক্রয় করা হয়েছে। ২০১৮ সালে সরকারের নিকট থেকে ২.৫ কোটি টাকার স্পেশাল অতিরিক্ত এডিপি বরাদ্দ এসেছে যা হাছিনা গাজীর প্রচেষ্টায়।

পৌর সভায় মাধ্যমিক বিদ্যালয় নির্মানের জন্য সরকার স্বীকৃতি দিয়েছে। পৌরসভা আলোকসজ্জা করা হয়েছে। দারিদ্র বিমোচনের জন্য  মহিলাদের সেলাই মেশিন প্রদান এবং প্রশিক্ষণ ও মেধাবীদের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। বয়স্কভাতা বিধবাভাতা স্বামী পরিত্যক্তা ভাতা প্রতিবন্ধী মাতৃত্বকালীন ভাতাসহ সকল প্রকার ভাতার পরিমাণ বৃদ্ধি করা হয়েছে।

স্বচ্ছতা জবাবদিহিতা রাজস্ব বৃদ্ধিসহ নানা কাজের জন্য দেশের সকল পৌরসভার মধ্যে মূল্যায়নে প্রথম স্থান অধিকার করায় সরকার বিশেষ প্রকল্প বরাদ্দ দিয়েছে । যেমন সিআরডিপি,ইউজিআইপি৩, বিএমডিএফ, ওয়াটার সাপ্লাই এন্ড স্যানিটেশন, আরবান আইসিটি প্রকল্পে নতুন করে অন্তুভূক্ত হয়েছে। যার দ্বারা তারাব পৌরসভা ডিজিটাল পৌরসভায় রূপান্তর হবে।

২০১৮/১৯ অর্থবছরে বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে ১২১ কোটি টাকা ১৬ লক্ষ ৪৫ হাজার ৬শত ৭১ টাকা। রাজস্ব আয় ১৬ কোটি ৩৭ লক্ষ ৯০হাজার টাকা। রাজস্ব বাজেট ব্যয় ৯ কোটি ৪৩ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা।উন্নয়ন আয় ১১০কোটি ৬০ লক্ষ টাকা। উন্নয়ন ব্যয় ১১0 কোটি ৩৫ লক্ষ টাকা।